ওয়ারেন শহরের হলমিচ পার্কে খোলা আকাশের নিচে ঈদের সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোরবানির শিক্ষা ত্যাগ ও আল্লাহর আনুগত্যের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে চলবার কথা বলা হয়েছে নামাজের বয়ানে। বাংলাদেশের উন্নতিসহ বিশ্ববাসীর কল্যাণে করা হয়েছে বিশেষ মোনাজাত। এছাড়া আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় স্থানীয় বিভিন্ন গ্রেসারি ও ফার্ম হাউজে পশু কোরবানি দিয়েছেন প্রবাসীরা।
জানা যায়, অতীতে ঈদুল আজহায় মিশিগানে বাংলাদেশি মুসলিম কমিউনিটির খোলা আকাশের নিচে বড় দুটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হতো। তবে এবার কিছুটা ব্যতিক্রম ঘটেছে। ডেট্টয়েট শহরের বাংলাটাউনের জেইন পার্কের মাঠে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি। ঈদের আগের দিন রাতে ঈদ জামাত না হওয়ার বিষয়টি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ঘোষণা দেন বাইতুল মোকাররম ঈমাম মাওলানা আহমেদ কাশেম। তবে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে ওয়ারেন শহরের হলমিচ পার্কে। খোলা আকাশের নিচে এটিই ছিল একমাত্র এবং সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত। সকাল সাড়ে ৮টায় নামাজ শুরুর আগে থেকেই নারী পুরুষ মুসল্লিরা দলে দলে এসে যোগ দেন। মুসল্লিদের উপস্থিতিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায় পার্কের মাঠ। প্রায় ৮ হাজার মানুষ একত্রে নামাজ পড়েন। জামাত শেষে একে অপরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মুসল্লিরা। পাশাপাশি ঈদের আনন্দে মেতে সামিল হন তারা। হলমিচ পার্কে অনুষ্ঠিত ঈদ জামাতের আয়োজনে সুশৃংখলভাবে সামিল হওয়ায় কমিউনিটির মুসল্লিদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন আয়োজক কমিটি।

মিশিগানে বেশির ভাগ বাংলাদেশি-আমেরিকানরা পরিবার পরিজন নিয়ে বাস করেন। তারা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় প্রবাসীরা বাংলাদেশে কোরবানি দিয়েছেন। এছাড়া অবস্থা সম্পন্ন ব্যক্তিরা বাংলাদেশে কোরবানি দেওয়ার পাশাপাশি মিশিগানের স্থানীয়ভাবে গ্রোসারি ও ফার্ম হাউজে কোরবানি দিয়েছেন। ইসলামি বিধান মেনে, পশু কোরবানি দিয়েছেন প্রবাসীরা। তবে বাংলাদেশের মতো নয়, এখানকার কোরবানির প্রক্রিয়া এক্কেবারে ভিন্ন। মুল শহর থেকে দূরের নিদিষ্ট কোন ফার্ম হাউজে গিয়ে কিংবা গ্রোসারির মাধ্যমে গরু, ছাগল ও বেড়া কোরবানি দিতে হয় প্রবাসীদের। তবে এখানে সুযোগ নেই দরিদ্রেদের মাঝে মাংস বিতরণের। তাই মিশিগানে বসকারী আত্মীয়স্বজনদের মাঝে কোরবানির মাংস বিতরণ করেন প্রবাসীরা। ফার্ম হাউজ বা গ্রোসারি থেকে কোরবানির গোস্ত সংগ্রহ সিরিয়াল অনুযায়ী ঈদের দিন থেকে শুরু করে ৩দিন পযর্ন্ত সময় লেগে যায়।
এছাড়া মসজিদ নূর,বাইতুল মোকাররম, দারুল কোরআন, আল ইহসান ইসলামিক সেন্টার ও দারুল উলুমসহ বাংলাদেশি কমউনিটির সবকটি মসজিদে দুটি তিনটি করে অনুষ্ঠিত হওয়া ঈদ জামাতে বাংলাদেশি মুসলিমদের মিলনমেলা হয়েছে।